📰 নিউইয়র্ক কক্ষ, কুলাউড়া টাইমস
🗓️ ২রা জুন ২০২৫, ১৭:১৫ মিনিট

নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপির উদ্যোগে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। গত ৩০ মে, নিউইয়র্কে আয়োজিত স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক মহানগর (উত্তর) বিএনপির সভাপতি আহবাব চৌধুরী খোকন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বেবি নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বেগম খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস ড. জিয়াউল ইসলাম মুন্না, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ জসিম ভূঁইয়া, যুবদলের সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু সাইদ আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, বিএনপি নেতা জাফর তালুকদার ও মস্তোফা কামাল পাশা মওদুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেবি নাজনীন বলেন, “শহীদ জিয়া ছিলেন এক ক্ষণজন্মা নেতা যিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে দেশকে স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু ১৯৮১ সালের ৩০ মে, দেশি-বিদেশি চক্রান্তে তিনি শহীদ হন।”
বিশেষ অতিথি জিল্লুর রহমান এ দিনটিকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণার দাবি জানান। সভাপতির বক্তব্যে আহবাব চৌধুরী বলেন, “শহীদ জিয়ার নাম বাংলার মানুষের হৃদয়ে খোদাই করা। মাত্র সাড়ে চার বছরে তিনি যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন, তা আজও অতিক্রম করতে পারেনি কোনো সরকার।”
সভাপতির বক্তব্যে আহবাব চৌধুরী বলেন “জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের হৃদয়ে খোদাই করা একটি নাম। মাত্র সাড়ে চার বছরের শাসনামলে তিনি যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন, তা আজও জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। তিনি কৃষি, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, শিল্পসহ প্রতিটি খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন। এমন একজন রাষ্ট্রনায়ককে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হলেও, তাঁর আদর্শ কখনো হত্যা করা যায়নি। মৃত্যুর ৪৪ বছর পরও বাংলার মানুষ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে, যা প্রমাণ করে—শহীদ জিয়া চিরঞ্জীব।”
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার জাহিদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন: এ জি এম জাহাঙ্গীর হাসাইন, আব্দুর রহিম, সোয়েব আহমেদ, সেবুল খান মাহবুব, লিয়াকত আলী, মোহাম্মদ আলী রাজা, বেলাল চৌধুরী, আনোয়ারুল আলম ভূঁইয়া, সুলতান খান, আতিকুর রহমান সাবু, মমতাজ উদ্দিন, ফারুক কবির, দুলাল রহমান, আক্তারুল ইসলাম নান্নু, খন্দকার আব্দুল বাকী, বেগ হোসাইন ইসলাম মিঠু, মোঃ সুজা উদ্দিন, মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান (প্রিন্স), মোঃ মোক্তাদীর, মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, মোঃ নজরুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, শামীম হোসেন, মোঃ আসিফ, জিয়াউল হক জামিল, মোঃ আশিকুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আহাদ হেলাল, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা শফিউল্লাহ, আশফাক চৌধুরী, রুহেল আহমেদ, হোসাইন রুবেল, তানিম চৌধুরী, মোঃ মিলন আলী, আবুল কালাম আজাদ, মিরাজ মাহমুদ সিদ্দিক, রাজ্জাক মুন্না, মোঃ ফকরুল ইসলাম ও শেক্সপিয়র আহমেদ।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা এবাদুর রহমান চৌধুরী। শেষে কয়েক শতাধিক মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।